সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হ’ল, নতুন নিয়ম অনুসারে আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল থেকে অর্থোপার্জন করতে চান তবে আপনার 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা দেখার সময় থাকা উচিত, তারপরে আপনি অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন করতে পারেন তবে এটি শুরু করা এত সহজ নয়। সুতরাং “ইউটিউব মনিটাইজেশন ছাড়াই ইউটিউব থেকে কীভাবে উপার্জন করবেন?” এই আলোচনায় আমরা সেগুলোই দেখবো। আর তাই আজ আমি আপনাকে এমন একটি কৌশল সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যার মাধ্যমে আপনি সহজেই YouTube মনিটাইজেশন ছাড়াই বা শূন্য সাবস্ক্রাইবার নিয়েও ইউটিউব থেকে উপার্জন করতে পারবেন।
আর প্রথম পর্বতে আমার অনলাইনে অর্থোপার্জনের জন্য এখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করবো, যেখানে আমরা কমিশন পাওয়ার জন্য অন্য মানুষের পণ্য বিক্রি করতে পারি। আপনি যদি ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে ৪ থেকে ১০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন, আর যদি ডিজিটাল পণ্য বা টিউটোরিয়াল সেল করতে পারেন তাহলে ৭০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন।
আসুন আমরা বিক্রি করতে পারি এমন একটি ভাল পণ্য খুঁজে বার করবো। আমি এর জন্য ক্লিকব্যাঙ্ক সুপারিশ করব। ক্লিকব্যাঙ্ক একটি খুব ভাল মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি বিক্রি করতে হাজার হাজার ডিজিটাল পণ্য অনুসন্ধান করতে পারেন। তারপরও আমি আপনাদের আমি যে তিনটি নিশ নিয়ে কাজ করি সেগুলো বলছি
Health & Fitness
Wealth Creation
Relationships Building
যদি আপনি এই তিনটি নিশ নিয়ে কাজ করেন তবে অনলাইনে আপনি সত্যিই খুব ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন বা আপনি ভাল করতে পারবেন কারণ এই নিশ নিয়ে অনেক লোক তাদের সমস্যার সমাধান খুঁজছেন এবং আপনি সেই সমস্যার সমাধান সরবরাহ করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে প্যাসিভ ইনকাম তৈরির প্রক্রিয়া: –
স্টেপ ০১ : – সুতরাং শুরু করা যাক এবং প্রচার করার জন্য একটি ভাল অফার সন্ধান করুন, এই নিশ থেকে যে কোনও একটি নিশ নির্বাচন করুন। উদাহরণস্বরূপ নির্বাচন করুন: – স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস।

স্টেপ-০২ : শর্ট রেজাল্ট আনার জন্য ক্লিক করে GRAVITY আনুন

স্টেপ ০৩: এখন ১- ৫ম অফার থেকে যে কোনও অফার সিলেক্ট করুন এবং প্রোমোট লিংক বাটনে ক্লিক করুন- এখন নতুন উইন্ডো আসবে- এখানে ক্রিয়েট বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ ০৪: এরপর যে উইন্ডো আসবে আপনি সেখানে প্রমোট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাবেন।
স্টেপ ০৫: এখন আপনার অনুমোদিত লিঙ্কটি কপি করুন এবং এই সাইটের যে কোনওটির সাথে এই লিঙ্কটি সংক্ষিপ্ত করুন: –
স্টেপ ০৬ : এখন ইউটিউবে যান এবং প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড অনুসন্ধান করুন “আপনার কীওয়ার্ডের উপর 4-7 শব্দ সম্পর্কে ফোকাস করা উচিত” উদাহরণস্বরূপ: – “How to Lose Weight Women Fast” আপনি এই কীওয়ার্ড টুলসগুলোর সাহায্যও পেতে পারেন
স্টেপ ০৭: এরপর আপনি ইউটিউবেেএস সার্চ করুন- “fitness, creative commons” Creative Commons মানে হচ্ছে আপনি এই ভিডিওগুলো আবার ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার চ্যানেলটিতে আপনাকে এই ভিডিওগুলি পুনরায় ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, এই ভিডিওগুলির সাথে কোনও কপিরাইট সংক্রান্ত সমস্যা নেই।
Creative Commons Attribution license (reuse allowed)
স্টেপ ০৮: এরপর আপনি ভালো দেখে একটি ভিডিও আপনার কম্পিউটারে MP4 ফরমেটে নামিয়ে নিবেন। এর জন্য নিচের সাইট দুটির সাহায্য নিতে পারেন।
স্টেপ ০৯ : এরপর আপনি সেই ভিডিওটি একটু ভালো করে এডিট করে আপনার চ্যানেলে আবার আপলোড দিতে পারবেন। তবে একটি কথা অব্শ্যই ডেসক্রিপশনে আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংকটা দিতে ভুলবেন না। টাইটেলে আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ড দিতে হবে। এবং ট্যাগ ভালোভাবে দিবেন। আপনার ভিডিওর জন্য সেরা ট্যাগগুলি সন্ধানের জন্য এখানে কয়েকটি সেরা ট্যাগ এক্সট্রাক্টর রয়েছে: –
৯টি ধাপ আপনি করে ফেলেচেন। এখন… এখন তাহলে কি করবেন। আপনার ভিডিওতে তো আর এমনি এমনি ভিউ হবে না, এর জন্য আপনাকে আরো কিছু কাজ করতে হবে। এসইও করাতে হবে, অর্গানিক ট্রাফিক দিতে হবে। যখন আপনার ভিডিওতে এগুলো থাকবে তখন আপনা আপনি আপনার সেলটা বাড়বে। আর এরজন্য আমি আপনাদের ৩ টি সাইটের নাম বলে দিতে পারি। এই সাইটগুলো থেকে আপনি আপনার সেবা নিতে পারেন।
তবে অবশ্যই এই কাজ করার আগে আপনাকে ইউটিউব সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে হবে। কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন, কিভাবে আয় করার জন্য চ্যানেল তৈরি করে নিবেন। আর এ সবকিছু নিয়ে আমি আলোচনা করেছি আমার নতুন বই ‘সিক্রেটস অব ইউটিউব’ নামের বইটিতে। আপনি চাইলে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।
